আমার বিয়ে কবে হবে
বিয়ে হলো একজন পুরুষ ও একজন নারী যৌথ জীবন এবং একে অপরের প্রতি ভালবাসার অঙ্গীকার একটি কেবল একটি ধর্মীয় রীতি নয় আধুনিক সমাজের একটি আইন প্রথা ও বটে বিয়ের মাধ্যমে পরিবার গঠন স্থাপন ভালবাসা এবং সন্তান-সন্তান লাভ করা সম্ভব হয় যা মানবজীবন বংশ ধারা টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করে।
- বিয়ে কেনো ফরজ ।
- বিয়ের উপযুক্ত সমই
- বিয়ের নিওম ও গুরত
- বিয়ের বিভিন্ন দিক
- বিয়ের উদ্দেশ্য
- বিয়ের বিধান ও শর্তাবলি
- বিয়ের জন্ন কুরআন থেকে উক্তি
- ইসলাম এ ছেলে ও মেয়ের বিয়ের বয়স কত
- একজন পুরশ ও নারী কইটা বিয়ে করতে পারবে
- কোন আমল করলে তাড়াতাড়ি বিয়ে হবে
- ধর্মীয় ও সামাজিক গুরুত্ব বিবাহ একটি পবিত্র বন্ধন এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্ম এটি ধর্মাবৃত্তি বিভিন্ন রীতি ও প্রথার মাধ্যমে পালিত হই।
- আইন স্বীকৃতি বর্তমান সময়ে বিবাহ একটি আইন প্রথা ও যা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের আইনি ভিত্তি তৈরি করে।
- বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব মানবজীবনে বংশ রক্ষার জন্য বিবাহ গুরুত্ব অপরিসীমদাম্পত্য জীবন স্বামী ও স্ত্রীর যুক্ত জীবনকে দাম্পত্য জীবন বলা হয় এ জীবনে ভালোবাসা প্রেম ও প্রীতি গড়ে ওঠে।
- ইসলামিক প্রেক্ষাপট ইসলামিক বিবাহে দেনমোহর একটি অপরিহার্য শর্ত যার দাম্পত্য জীবনে ভালোবাসার পথ জীবন হিসেবে বিবেচিত হ।
- মানসিক প্রশান্তি ও চারিত্রিক পবিত্রতা বিবাহ মানসিক প্রশান্তি এবং চারিদিক ও পবিত্র অর্জনের সহযোগিতা করে।
- পারিবারিক বন্ধন এটি দুই পরিবারকে একত্রিত করে এবং নতুন পরিবার গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
- বংশ রক্ষা সন্তান জন্মদান এবং তাদের সঠিক লালন পালন করা বিয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক।
- সম্পর্কে স্থায়িত্ব ভালোবাসা ধৈর্য এবং একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা বোধের মাধ্যমে একটি দীর্ঘস্থায়ী অসুখী সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব।
আল্লাহ বলেন আর তোমাদের মধ্যে যারা অবিবাহিত তাদের বিয়ে সম্পন্ন করো আর তোমাদের দাস-দাদীদের মধ্যে যার সৎ তাদেরও যদি তারা দরিদ্র হয় তবে আল্লাহ তাদের তার অনুগ্রহ সচ্ছল করে দেবেন আল্লাহ তো প্রাচুর্যশীল সর্বাগ্য। তার নিদর্শন সমূহের মধ্যে রয়েছে যে তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের জন্য সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাওয়ার তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছে এটা চিন্তাশীল লোকদের জন্য নিদর্শন রয়েছে। দুজন মুসলমান যখন বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয় আল্লাহ তাদের প্রতি দয়া ও বরকত নাযিল কর।
ইসলামে বিয়ে নিয়ম ও বিধান
বিয়ে আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত ও রাসুল (সা.) এর গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। চারিত্রিক অবক্ষয় রোধের অনুপম হাতিয়ার। আদর্শ পরিবার গঠন, মানুষের জৈবিক চাহিদাপূরণ ও মানবিক প্রশান্তি লাভের প্রধান উপকরণ। বিয়ে ইসলামী শরিয়তের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো— তিনি তোমাদের মধ্য থেকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জীবনসঙ্গিনী, যাতে তোমরা তাদের নিকট প্রশান্তি লাভ করতে পারো এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক প্রেম-প্রীতি, ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। ’ (সুরা রুম, আয়াত :২১)
ইসলামে বিয়ের যাবতীয় নিয়ম-কানুন এবং বিধান-শর্ত ও আনুসাঙ্গিক বিষয় নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো।
ইসলামে বিয়ের মৌলিক ভিত্তি
১. বর-কনে উভয়ে বিয়ে সংঘটিত হওয়ার ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্ত হওয়া।
২. ইজাব বা প্রস্তাবনা, এটি হচ্ছে বরের কাছে মেয়ের অভিভাবক বা তার প্রতিনিধির পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাব উপস্থান করা। যেমন, আমি অমুককে তোমার কাছে বিয়ে দিলাম’ অথবা এ ধরনের অন্য কোনভাবে প্রস্তাব পেশ করা।
৩ কবুল বা গ্রহণ করা এটি বর বা তার প্রতিনিধির সম্মতিসূচক বাক্য। যেমন, আমি কবুল বা গ্রহণ করলাম ইত্যাদি।
বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার শর্ত
(১) বর-কনে উভয়কে গ্রহণযোগ্যভাবে নির্দিষ্ট করে নেয়া।
(২) বর-কনে একে অন্যের প্রতি সন্তুষ্ট হওয়া। রাসুল( সা.) বলেন ,স্বামীহারা নারী বিধবা বা তালাকপ্রাপ্তা কে তার সিদ্ধান্ত ছাড়া অর্থাৎ পরিষ্কারভাবে তাকে বলে তার কাছ থেকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, বিয়ে দেয়া যাবে না। কুমারী মেয়েকে তার সম্মতি কথার মাধ্যমে অথবা চুপ থাকার মাধ্যমে ছাড়া বিয়ে দেয়া যাবে না। লোকেরা জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কেমন করে তার সম্মতি জানব, তিনি বললেন, চুপ করে লজ্জার দরুন থাকাটাই তার সম্মতি। ’ বুখারি, হাদিস নং : ৪৭৪১
(৩) বিয়ের আকদ চুক্তি করানোর দায়িত্ব মেয়ের অভিভাবককে পালন করতে হবে। যেহেতু আল্লাহ তাআলা বিয়ে দেয়ার জন্য অভিভাবকদের প্রতি নির্দেশনা জারি করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, আর তোমরা তোমাদের মধ্যে অবিবাহিত নারী-পুরুষদের বিবাহ দাও। ’ (সুরা নুর, ২৪:৩২)
রাসুল (সা.) বলেন, যে নারী তার অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করবে তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল। তিরমিজি, হাদিস নং : ১০২১
(৪) বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুল (সা.) বলেন, অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।
কনের অভিভাবক হওয়ার জন্য শর্ত
১. সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন হওয়া।
২. প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া।
৩. দাসত্বের শৃঙ্খল হতে মুক্ত হওয়া।
৪.অভিভাবক কনের ধর্মানুসারী হওয়া। সুতরাং কোনো অমুসলিম ব্যক্তি মুসলিম নর-নারীর অভিভাবক হতে পারবে না।
৫. ন্যায়পরায়ণ হওয়া। অর্থাৎ ফাসেক না হওয়া। কিছু কিছু আলেম এ শর্তটি আরোপ করেছেন। অন্যেরা বাহ্যিক ‘আদালত’কে ধর্মভীরুতা যথেষ্ট বলেছেন। আবার কারো কারো মতে, যাকে তিনি বিয়ে দিচ্ছেন তার কল্যাণ বিবেচনা করার মত যোগ্যতা থাকলেও চলবে।৬.পুরুষ হওয়া। প্রিয় নবী (সা.) বলেন এক নারী অন্য নারীকে বিয়ে দিতে পারবে না। অথবা নারী নিজে নিজেকে বিয়ে দিতে পারবে না। ব্যভিচারিনী নিজে নিজেকে বিয়ে দেয়। ইবনে মাজাহ, হাদিস নং : ১৭৮২; সহিহ জামে : ৭২৯৮
ফিকাহবিদরা অভিভাবকদের ধারা নির্ধারণ করেছেন। সুতরাং কাছের অভিভাবক থাকতে দূরের অভিভাবকের অভিভাবকত্ব গ্রহণযোগ্য নয়। কাছের অভিভাবক না থাকলে দূরের অভিভাবক গ্রহণযোগ্য হই।
- ইস্তিগফার প্রতিদিন ইস্তেগফার পাঠ করা
- সুরা ইয়াসিন প্রতিদিন সকালে পশ্চিমমুখী হয়ে সুরা ইয়াসিন পাঠ করা যখন মুবিন শব্দটি উচ্চারণ হবে তখন সূর্যকে ইশারা করা
- সূরা দোহা প্রতিদিন ১১ বার সূরা পাঠ করা।
- ইয়া ফাওাহু ফরজ নামাজের পর বা সূর্যোদয়ের আগে ডান হাত দিয়ে বাম হাতের কব্জি চেপে ধরে 40 দিন পর্যন্ত ৪০ বার রিয়া ফাতাহু পাঠ করা।

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url