ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফেসপ্যাক বানানোর নতুন উপায়
আমরা চাই আমাদের তক সব সোমই সুন্দর ও সতেজ রাকতে কিভাবে আমরা আমাদের
তক এর যত্ন নিবো । এই আটিকাল এর মাধ্যমে জানতে পারবেন।
ঘরোয়া উপাদানে বিভিন্ন ধরনের ফেসপ্যাক তৈরি করা যায় ,যেমন উজ্জ্বল ত্বকের
জন্য বেসন, হলুদ, দুধ বা দই এবং গোলাপজল মিশিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি
করে মুখে ও ঘাড়ে লাগাতে পারেন। এছাড়াও মধুর সাথে কলা বা দুধ মিশিয়ে
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ব্রণ ও দাগ দূর করতে পারেন।
পেজ সূচিপত্রঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফেসপ্যাক ব্যবহারের উপকারিতা
- ফেসপ্যাক ব্যবহারের উপকারিতা
- কেন আমরা ফেসপ্যাক ব্যবহার করব
- ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে ত্বকের কি উপকার হয়
- কোন ফেসপ্যাকটি আমাদের জন্য সবচাইতে ভালো
- ঘরোয়া পদ্ধতি কি কি মাধ্যমে ফেসপ্যাক বানানো যায়
- ফেসপ্যাক ব্যবহারের নিয়ম
- কোন কোন উপাদান দিয়ে ফেসপ্যাক বানাতে হয়
আমরা আমাদের ত্বকের যত্ন নেয়ার জন্য সারাদিন সময় না পেলেও রাতে সময় পাই ,তাই আমরা রাতে ফেসপ্যাক ব্যবহার করব। আমাদের মুখের জন্য আমাদের তক সুন্দর ও সতেজ রাখতে প্রত্যেকদিন ফেসপ্যাক ব্যবহার করা উচিত ,আমরা বাজার থেকে বিভিন্ন ধরনের ফেসপ্যাক কিনে থাকি যেগুলো আমাদের মুখে শুট করতে চায় না ।তাই ঘরোয়াভাবে খুব সুন্দর করে আমরা ফেসপ্যাক বানাতে পারি, ঘরের বিভিন্ন জিনিস যেমন মধু হলুদ টমেটোর রস চালের আটা অ্যাভোকাডো বিভিন্ন ধরনের জিনিস দিয়ে আমরা ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারি, যেগুলো একদমই ন্যাচারাল হয় এবং কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে না যেগুলো দ্বারা খুব সুন্দর ভাবে আমাদের ত্বক পরিষ্কার হয় এবং অনেক গ্লদেখায় আমরা ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুব সহজেই ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারি।
মধু ও কলার ফেসপ্যাক
- উপকরণঃ
একটি পাকা কলা প্রয়োজনে এক টেবিল চামচ দুধ বা মধু নিন ।কলা ভালো করে চটকে নিন এতে পরিমাণ মতো দুধ মধু মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন মুখে লাগে ১৫ ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন আপনার ফেঁসে গুলো ভাব ও সুন্দর টক পাবেন এই ফেসটা একটি ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি যদি প্রতিদিন এই ফেসপ্যাকটি একবার করে ব্যবহার করুন আপনার মুখ থেকে কালো দাগ দূর হবে।
ফেসওয়াস ও অ্যালোভেরার ফেসপ্যাক
- উপকরণঃ
একটি নিম ফেসওয়াশ ও অ্যালোভেরার ভিতর থেকে জেলিটা বের করে একসঙ্গে খুব সুন্দর করে মিশিয়ে মুখে সুন্দরভাবে এপ্লাই করতে হবে পাঁচ মিনিট মাসাজ করার পর সুন্দরভাবে পানি দিয়ে মুখ দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে আপনি এপ্লাই করলে আপনার মুখ থেকে ব্রণ দূর হবে এবং মুখের মধ্যে থেকে ড্রাইনেস ভাব দূর হবে আপনার মুখ হবে।
অ্যাভোকাডো ফেসপ্যাক
- উপকরণঃ
অ্যালোভেরার চোকা ছাড়িয়ে সুন্দরভাবে অ্যালোভেরাটিকে ব্লিন্ডার করে নিতে হবে , তার সঙ্গে ভিটামিন সি ক্যাপসুল মিশিয়ে ও তার সঙ্গে টমেটো রস মিশিয়ে ভালো করে মেশ করে নিতে হবে , এরপরে মুখ ফ্রেশ পানি দিয়ে ধুয়ে মুখের মধ্যে এপ্লাই করতে হবে এটি মুখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে সুন্দর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। অ্যাভোকাডো মুখের গ্লো বাড়াতে সাহায্য করে এবং টমেটো রস মুখ থেকে ড্রাইভাব দূর করে।
মধু ও লেবুর ফেস প্যাক
- উপকরণঃ
এক চা চামচ মধু কয়েক ফোটা লেবুর রস ,মধু এবং লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে নিন্এই মিশ্রণটি মুখের কালো দাগের উপর লাগানো ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন মুখ থেকে কালো দাগ দূর হবে।
যে পাঁচটি উপাদান ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়
পাতিলেবুর রস প্রাকৃতিক ব্রিচ হিসেবে অনেকে ব্যবহার করে ।কিন্তু সরাসরি লেবুর রস তকে লাগাবেন না এর প্রভাবে ত্বকের তীব্র জ্বালা ভাব ও নানান ধরনের সমস্যা হতে পারে, এক চামচ লেবুর রসের সাথে এক চা চামচ চিনি মিশিয়ে সার্কুলার ত্বকে মেসেজ করুন চিনি গলে গেলে মুখ ধুয়ে ফেলুন লেবুর রস ব্যবহার করার পর অবশ্যই মশ্চারাইজার ব্যবহার করে নিবেন পাতিল লেবুর রস তক এর অতিরিক্ত তেল দূর করে এবং তথ্যে উজ্জ্বল বৃদ্ধি করে।
মসুর ডাল তক এর উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য কআর, মসুর ডাল বেশ কিছুক্ষন ভিজিয়ে রাখতে হবে যেন পেটে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করতে পারেন এটি মুখে লাগিয়ে নিন সুখিইয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন তারপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন, মশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
মধু এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় ত্বক নরম রাখে বলি রেখা ও কাল যে ভাব দূর করে এছাড়াও ব্রণের জীবাণু ধ্বংস করে মধু বেশ কার্যকর খুব কম সময় উজ্জ্বল ত্বক পেতে চাইলে মধু কোন বিকল্প নেই মধু সরাসরি মুখে লাগাতে পারেন কিন্তু বেশি ফলাফল পেতে হলে মধুর সাথে দুধ দই কলা লেবুর রস লাগাতে পারেন ।
শসা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে অনেক ভালো কাজ করে তিন টেবিল চামচ শসা রসের সঙ্গে এক টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন মুখ বন্ধ বয়ানে মিশ্রণটি সংরক্ষণ করুন দিনে কয়েকবারের মিশ্রণ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে ও ত্বককে কোমল রাখবে।
অল্প সময় ত্বকের উজ্জ্বলতা করতে, কলার কোন বিকল্প নেই তার সাথে যদি দুধকে কাজে লাগানো হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই ।এক কলা চারটি নিয়ে তাতে পরিমাণ মতো দুধ মিশিয়ে মুখে লাগাতে হবে তবে খেয়াল করবেন পেস্তা যেন একেবারে মিহি হয়ে যায় তাহলে অনেক ভালো কাজ করবে এটি মুখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে খুবই উপকারী একটি ফেসপ্যাক।
আমরা যদি প্রত্যেকটি রুলসমেন্ট করে প্রতিদিন মুখে একটি করে ফেসপ্যাক এপ্লাই করতে পারি তাহলে আমাদের মুখে খুবই দ্রুত গ্লোভা আসবে এবং আমাদের ফ্রেশ সুন্দরও সতেজ হবে আমরা প্রত্যেকদিন ঘুমানোর আগে একবার করে অন্তত আমাদের ফেসপ্যাক এপ্লাই করা উচিত ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি করা ফেসপ্যাক গুলি আমাদের দেশের জন্য খুব প্রয়োজনীয় একটি জিনিস।
ঘরে তৈরি করা ফেস প্যাকের উপকারিতা
আমরা যে ফেস প্যাকগুলি ঘরে তৈরি করে মুখে এপ্লাই করি সেগুলো একদমই অথেনটিক হয়ে থাকে। আমরা চাই আমাদের ফ্রেশ সব সময় সুন্দর ও সতেজ রাখতে, যেন কোন স্পট না পড়ে তাই আমরা বাজার থেকে নানা রকমের ফেসওয়াশ কিনে আনলেও সেটি আমাদের মুখে সহজে শুট করতে চায় না। নানা ধরনের মুখের মধ্যে নানা ধরনের পাশের প্রতিজ্ঞা পাষক পত্রিকা ঘটে যেমন ব্রণ মেসতা দেখা দেয় আমরা একদম অথেন্টিক ভাবে যদি ঘরোয়া পদ্ধতিতেই ফেসপ্যাক তৈরি করে মুখে এপ্লাই করি, তাহলে আমাদের মুখ ফ্রেশ থাকবে ও ভেজাল মুক্ত থাকবে আমরা সবাই চাই আমাদের ফ্রেশ খুব সুন্দর ও টানটান থাকুক। তাই আমরা ঘরোয়া পদ্ধতিতেই তৈরি করব ,এবং ব্যবহার করব। আমরা সব সময় ন্যাচারাল কিছু ইউজ করব যেটি আমাদের ত্বক ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে।
ফেসপ্যাক দিনে না রাতে ব্যবহার করব
আমরা সচরাচর সারাদিন নানা রকমের কাজে ব্যস্ত থাকি দৈনন্দিনদের কাজে ব্যস্ত থাকার জন্য আমরা আমাদের আমাদের যত্ন নিতে পারি না। তাই আমাদের উচিত প্রত্যেক দিন রাতে আমাদের ত্বকে ফেসপ্যাক এপ্লাই করা এবং আমাদের ফ্রেশ ঠিক রাখা, তাই আমরা রাতে ব্যবহার করব ঘুমানোর আগে ব্যবহার করে ঘুমালে রাতে ফ্রেশের মধ্যে অনেক পরিবর্তন আসে। আমরা ফেসপ্যাক এর জন্যই ব্যবহার করি যেন আমাদের ত্বক সুন্দর ও সতেজ থাকে , তাই আমরা যখন কোথাও বের হয় বা বেড়াতে যাই তখন আমরা ফেসপ্যাক ইউজ করি, যাতে আমাদের ফ্রেশ গ্লো দেখায় এবং সুন্দর দেখায়। এক্ষেত্রে আমরা দিনের বেলাও ও রাতে দুই সময়ে ইউজ করতে পারবো, তবে আমরা সারাদিন দৈনন্দিন কাজে ব্যস্ত থাকার জন্য না নিতে পারি এক্ষেত্রে রাতে আমরা এটি এপ্লাই করতে পারি।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি ফেসপ্যাক সবাই ব্যবহার করতে পারবে কিনা
ফেসপ্যাক মূলত আমাদের ত্বককে সতেজ ও সুন্দর রাখার একটি মাধ্যম যেটি আমরা দোকানে বিভিন্ন পণ্যের মাধ্যমেও পূরণ করে থাকি ও ঘরে তৈরি করেও পূরণ করে থাকি এটি ছেলে মেয়ে উভয়ের জন্য সমান এটি আমরা আমাদের ত্বককে শুষ্কতা থেকে ও ড্রাইনেস্ট থেকে ভালো ও সুন্দর রাখার জন্য ব্যবহার করে থাকি।
উপসংহার
আমরা যে বাজার দ্রব্য ফেসওয়াস গুলা ইউজ করি সেগুলো আমাদের জন্য ভালো, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আবার খারাপও আছে , কিন্তু আমরা যে ন্যাচারাল ভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফেসপ্যাক ফেসওয়াস বানিয়ে থাকি এগুলো আমাদের জন্য বেস্ট। কেননা এটিতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে না কারণ প্রত্যেকটি ফেসপ্যাক ফেসওয়াশের ভিতর নানা রকমের কেমিক্যাল মিশানো থাকে যা আমাদের ফেসে খুব ক্রিটিকাল ভাবে প্রভাব ফেলে ,তাই আমরা ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফেসপ্যাক তৈরি করে থাকি যেগুলো আমাদের মুখে সুন্দরভাবে সুট খায় এবং আমাদের ত্বকে মুসলিম ও সুন্দর রাখে। এই ক্ষেত্রে আমরা যে ঘরোয়া পদ্ধতিতে বানিয়ে থাকি সেগুলো আমাদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় ,আমরা সবসময় ন্যাচারাল কিছুই আমাদের ফেসে এপ্লাই করার চেষ্টা করব কেননা আমাদের ফেস খুবই কমন ও নরম হয়ে থাকে। এবং এখানে আমরা যদি আমাদের ত্বকে অতিরিক্ত ভেজাল মেশানো প্রোডাক্ট দিয়ে থাকি তাহলে পরবর্তীতে আমাদের ফেস এ নানা রকমের ইফেক্ট হতে পারে ।এর জন্য আমরা ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফেসপ্যাক বানিয়ে এপ্লাই করতে পারি ,এটি আমাদের জন্য খুবই ভালো এবং সুস্বাস্থ্যকর হবে এতে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই এটি একদমই ন্যাচারাল ।
.webp)

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url